জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের
বিনম্র শ্রদ্ধা…
বাংলাদেশের এই মাহেন্দ্রক্ষণে স্মরণ করি সেইদিন জীবন বাজী রেখে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী আমাদের গর্বিত সন্তানদের মধ্যে থেকে একজনের গল্প বলি..
আবেগের কারনে যেমন অনেক কিছু হারায় মানুষ, তেমনি আবেগ অনেক সময় বড় সাফল্য এনে দেয়।
অনেকে বলে একাত্তরে বেশীর ভাগ আবেগী মানুষই মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিল। এই সমালোচনকারীরা… তারা যদি জীবন বাজী রেখে যুদ্ধ না করতো। তাহলে তোদের কি অবস্থা হতো ভেবেছিস একবার?
একাত্তরের রণাঙ্গনের আমার বিয়ানীবাজারের এক মুক্তিযোদ্ধার সাথে অনেক দিন আগে কথা হল চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না।
যুদ্ধের সময় মাকে দেখতে ভারত থেকে রাতের আধাঁরে বাড়িতে আসলেন। মা নামাজ পড়া অবস্থায়, সালাম ফিরিয়ে ছেলেকে দেখে বললেন তুই কবে আসলে বাবা?
কিছু সময় আলাপ করার পর বললেন তুই তাড়াতাড়ি চলে যায়, যদি পাকিস্তানী সৈন্যরা বা জাজরা খব পায়। তোকে মেরে ফেলবে। বললেন মা অনেক দিন ধরে পেট ভরে ভাত খাইনি, একটু ভাত দাও।
খাবার পর বলল হয়তো জীবিত নাও আসতে পারি একটু ঘুমাই মা তোমার পাশে মাত্র একঘন্টা পর জাগিয়ে দিও মা। রাত চারটায় মা জাগিয়ে দিয়ে বললেন সকাল হয়ে যাবে তাড়াতাড়ি চলে যাও বাবা।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাড়িতে এসে প্রথমে মায়ের পায়ে ধরে সালাম করলেন। আর মা বললেন সেইদিন তাড়িয়ে দিয়ে ছিলাম বলে কষ্ট পাইছিলে মনে কিছু নিয়েছিস বাবা?
আমাকে জড়িয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন তিনি। বিজয়ের এই মাসে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলী ও বেঁচে আছেন যারা, তাদের দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
এক বীর মুক্তিযোদ্ধা কে নিয়ে গল্পঃ আহমদ এইচ খান।